নিজ গ্রামের স্কুলে ৩৯ বৎসর শিক্ষকতার পর অবসরে গেলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুলসী রাণী বনিক।
এ সময় তিনি স্কুলের নানা স্মৃতিচারণ করে নজরুল গীতি গেয়ে নিজে কাঁদলেন অন্যকেও কাঁদালেল। বললেন ”আমার যাবার সময় হলো দাও বিদায়” শিক্ষার্থীদের প্রিয় শিক্ষিকা হিসাবে পরিচিত তুলসী রানী বণিক করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের দেখতে না পারায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জগন্নাথপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মেনেজিং কমিটি, শিক্ষক – অভিভাবক কমিটি ও শিক্ষক- শিক্ষিকাবৃন্দের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় স্কুলের ডিজিটাল রোমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাষক রিংকর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অনন্ত পালের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি আজাদ আলী, কমিটির সদস্য, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া, শিক্ষক-অভিভাবক কমিটির সহ সভাপতি সমর চন্দ্র সুত্রধর, সিনিয়র শিক্ষিকা রুবি রায়, নিলিমা দাস, শিক্ষিকা উম্মে হানিফা মিলি। অন্যানোর মধো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষিকা শিপ্রা রায়, শিখা রানী সরকার, মিতালী রায়, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য চয়নিকা মজুমদার, শিক্ষক অভিভাবক কমিটির সদস্য তাসলিমা আক্তার ডলি, ঝর্না দাস, স্মৃতি রানী দাস, ও সমাজ সেবক শফিকুল ইসলাম, জোৎস্না সুত্রধর, সাংবাদিক রনি মিয়া, স্কুলের নৈশ প্রহরী সুনীল সরকার প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুলসী রানী বণিকের দীর্ঘ ৩৯ বছরের কর্মময় জীবনের কথা স্বরণ করে বলেন, তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক।
শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড। যার হাতে গড়া অশংখ্য শিক্ষার্থী সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ তথা সমাজে সাক্ষর রাখছেন। জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা তুলসী রানী বণিক নিজেও এই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
একাধারে সফলতার সাথে সহকারী শিক্ষক থেকে শুরু করে হয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি স্কুলে কর্মরত অন্য শিক্ষকদের জন্য হতে পারেন পথপদর্শক। যার অবদানের কথা কখনো ভুলে যাওয়ার নয়। পরে সংবর্ধিত অতিথি তুলসী রানী বনিকের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও পুরস্কার তুলে দেন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।